ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচি ও টিকেট মূল্য
If you would like to read it in English, please click here.
সারসংক্ষেপ
- ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব রেলপথে: ৩৪৬ কিমি।
- চালু ট্রেনের সংখ্যা: ৮।
- পৌঁছুতে সময় লাগে: ৫-৭ ঘণ্টা।
- সুবর্ণ এক্সপ্রেস: ছাড়ে বিকেল ০৪:৩০, পৌঁছয় রাত ০৯:৫০-এ। শুক্রবার বন্ধ।
- টিকেট মূল্য: ৩৪৫ টাকা (শোভন চেয়ার)।
আপনি কি ট্রেনে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে চাচ্ছেন, আর সেজন্যে খুঁজছেন ঢাকা টু চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচি ও টিকেট মূল্য?
বাংলাদেশের দুই সর্ববৃহৎ নগরী ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করে থাকেন। তাঁদের সবারই দরকার হয় ঢাকা টু চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়া সম্পর্কে তথ্য।
রেলপথে ঢাকা থেকে চট্রগ্রামের দূরত্ব কত, এই রুটে কোন্ কোন্ ট্রেন চলাচল করে, ঢাকা টু চট্টগ্রাম ট্রেনের রুটম্যাপ কী, মাঝপথে কোথায় কোথায় বিরতি নেয়, কোন্ ট্রেন কখন ছাড়ে আর কয়টায় পৌঁছায়, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাবার ট্রেনের ভাড়া বা টিকেটের দাম কত—এইসব দরকারি তথ্য নিয়েই এই লেখা। আশা করি তথ্যগুলো আপনার কাজে লাগবে।
আরও দেখুন: Sonar Bangla Express Train Schedul & Ticket Price (Dhaka-Chittagong-Dhaka).
বিষয়সূচি
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব
ওপরে যেমন উল্লেখ করেছি, বাংলাদেশ রেলওয়ে-এর তথ্য মতে রেলপথে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব হলো ৩৪৬ কিলোমিটার। অন্যদিকে জাতীয় তথ্য বাতায়ন বলছে, সড়কপথে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব হলো ২৯৫ কিলোমিটার। যেহেতু এটি একটি দীর্ঘ পথ, তাই বেশিরভাগ যাত্রী অন্যান্য গণপরিবহনের চেয়ে তাঁদের যাতায়াতের জন্যে ট্রেনকেই অগ্রাধিকার দেন।
আপনি যদি রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক ও রেলপথে বাংলাদেশের অন্যান্য জেলা শহরগুলির সঠিক দূরত্ব জানতে চান, তবে একনজর দেখে নিতে পারেন এই লেখাটি: Dhaka to All District Distance.
আপনি যখন চট্টগ্রামে পৌঁছে গিয়েছেন তখন ব্যস্ততা কম থাকলে আপনার ইচ্ছে করতেই পারে যে, এক চক্কর কক্সবাজার গিয়ে সমুদ্র ছুঁয়ে আসবেন। এমন হলে আপনাকে সাহায্য করবে এই নিবন্ধ: Cox’s Bazar Sea Beach.
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে কতক্ষণ লাগে
আন্তঃনগর ট্রেনে চড়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাত্রাপথের এই ৩৪৬ কিলোমিটার দূরত্ব পার হতে সুবর্ণ এক্সপ্রেস সময় নেবে ৫ ঘণ্টা ২০ মিনিট, মহানগর এক্সপ্রেসে লাগবে ৬ ঘণ্টা ৩০ মিনিট, মহানগর প্রভাতী পৌঁছুবে ৫ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটে, তূর্ণা এক্সপ্রেসে ৬ ঘণ্টা ৫০ মিনিট এবং সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন আপনাকে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে সময় নেবে ৫ ঘণ্টা ১৫ মিনিট।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রেলপথে মেইল ট্রেনগুলি আন্তঃনগর ট্রেনগুলির চেয়ে ধীরগতির এবং মাঝপথের ছোট ছোট স্টেশনে এগুলি বিরতিও নেয় বেশি সময়। তাই চট্টগ্রাম মেইল ট্রেনে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে ৭ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট, কর্ণফুলি এক্সপ্রেসে গেলে ৯ ঘণ্টা ৩০ মিনিট এবং চট্টলা এক্সপ্রেস মেইল ট্রেনে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছুতে আপনার সময় লাগবে ৭ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
ঢাকা টু চট্টগ্রাম ট্রেনের তালিকা
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী ট্রেনের সময়সূচি ছক আকারে দেখে নিতে পারেন, নিচে। তবে তার আগে, আসুন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনগুলির একটি তালিকা ও পরিচিতি জেনে নিই। বাংলাদেশ রেলওয়ে বর্তমানে ঢাকা টু চট্টগ্রাম রুটে মোট ৮টি ট্রেন পরিচালনা করছে। তন্মধ্যে রয়েছে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস এবং সুবর্ণা এক্সপ্রেসের মতো বিলাসবহুল এবং খুব জনপ্রিয় দু’টো ট্রেন। এ দু’টোর কথা আলাদা করে উল্লেখ করতে হয় এ কারণে, পুরো বাংলাদেশে বিরতিহীন ট্রেন আছে মাত্র ৩টি, দু’টি আবার একই ঢাকা টু চট্টগ্রাম রুটে—সুবর্ণ ও সোনার বাংলা।
১. সুবর্ণ এক্সপ্রেস:
সুবর্ণ এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭০১/৭০২) হলো বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন। এটি ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন এবং চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের মধ্যে চলাচল করে।
সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনই বাংলাদেশের প্রথম বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন। ঢাকা বিমানবন্দর রেলস্টেশন ছাড়া এটি দীর্ঘ ৩৪৬ কিলোমিটার যাত্রাযপথে আর কোথাও থামে না।
সময়সূচি: সুবর্ণ এক্সপ্রেস ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যায় বিকেল সাড়ে ৪টায় এবং চট্টগ্রামে পৌঁছয় সকাল ৯:৫০-এ। উল্টোপথে, চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে সুবর্ণ এক্সপ্রেস সকাল ৭টায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় এবং দুপুর ১২:২০-এ গন্তব্যে পৌঁছয়। সোমবার হলো সুবর্ণ এক্সপ্রেসের সাপ্তাহিক ছুটির দিন।
মধ্যবিরতি: সুবর্ণ এক্সপ্রেস হলো বাংলাদেশের ৩টি বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেনের একটি। ঢাকা বিমানবন্দর রেলস্টেশন ছাড়া এটি আর কোথাও থামে না।
২. সোনার বাংলা এক্সপ্রেস:
সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭৮৭-৭৮৮) হলো বাংলাদেশের ৩টি বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেনের একটি। এটি চট্টগ্রাম রেলস্টেশন এবং ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে চলাচল করে।
সোনার বাংলা এক্সপ্রেস উদ্বোধন করা হয়েছিল ২৫শে জুন, ২০১৬-তে।
সময়সূচি: সোনার বাংলা এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয় সকাল ৭টায় এবং গন্তব্য পৌঁছয় দুপুর সোয়া ১২টায়। বিপরীতপথে, এটি চট্টগ্রাম থেকে বিকেল ৫টায় যাত্রা শুরু করে এবং ঢাকায় পৌঁছয় রাত ১০:১০-এ।
বিরতিস্থল: একটি বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন হিসেবে সোনার বাংলা এক্সপ্রেসও কেবল ঢাকা বিমানবন্দর রেলস্টেশনে দুই ও পাঁচ মিনিট থামে।
৩. তূর্ণা এক্সপ্রেস:
তূর্ণা এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭৪১/৭৪২) বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিচালিত ঢাকা টু চট্টগ্রাম রুটের একটি দ্রুতগতির বিলাসবহুল আন্তঃনগর ট্রেন। আপনি যদি রাত্রিকালে ভ্রমণের কথা ভেবে থাকেন তবে তূর্ণা এক্সপ্রেস আপনার জন্যেই।
সময়সূচি: তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেন রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে গিয়ে ভোর ০৬:২০-এ চট্টগ্রামে পৌঁছয়। বিপরীতপথে, এটি চট্টগ্রাম থেকেও রাত ১১টায় যাত্রা শুরু করে ঢাকায় পৌঁছয় সকাল সোয়া ৫টায়।
তূর্ণা এক্সপ্রেস সপ্তাহের ৭ দিনই চলে, এর কোনো ছুটিছাটা নেই।
বিরামস্থল: তূর্ণা এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটি নিম্নোক্ত ৭টি স্টেশনে বিরতি নেয়:
ফেনী জংশন, লাকসাম জংশন, কুমিল্লা, আখাউড়া জংশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ভৈরব বাজার জংশন এবং ঢাকা বিমানবন্দর রেলস্টেশন।
৪. মহানগর এক্সপ্রেস:
মহানগর এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭২১-৭২২) বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত একটি বিলাসবহুল আন্তঃনগর ট্রেন। ট্রেনটি বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত চলাচল করে। ট্রেনটি উদ্বোধন করা হয়েছিল ১৯৮৫ সালের ৪ ডিসেম্বর।
সময়সূচি: মহানগর এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন চট্টগ্রামের উদ্দেশে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়ে যায় রাত ৯:২০টায় এবং গন্তব্যে পৌঁছয় ভোর ০৪:৫০-এ। রবিবার হলো এর সাপ্তাহিক বন্ধের দিন।
বিরামস্থল: মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি নিম্নলিখিত ১২টি স্টেশনে থামে:
কুমিরা, ফেনী জংশন, নাঙ্গলকোট, লাকসাম জংশন, কুমিল্লা, কসবা, আখাউড়া জংশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আশুগঞ্জ, ভৈরব বাজার জংশন, নরসিংদী এবং ঢাকা বিমানবন্দর রেলস্টেশন।
৫. মহানগর প্রভাতী / গোধূলি এক্সপ্রেস:
মহানগর প্রভাতী বা মহানগর গোধূলি (ট্রেন নং ৭০৩/৭০৪) বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিচালিত দূরপাল্লার আন্তঃনগর ট্রেনগুলির অন্যতম। এটি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন এবং ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে চলাচল করে। ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ‘মহানগর গোধূলি’ নামে যায় এবং ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ‘মহানগর প্রভাতী’ নামে ফিরে আসে। এটি যাত্রাপথে ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং কিশোরগঞ্জ জেলাকে সংযুক্ত করেছে। ১৯৮৬ সালে ট্রেনটি উদ্বোধন করা হয়।
সময়সূচি: মহানগর প্রভাতী আন্তঃনগর ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সকাল পৌনে ৮টায় ছেড়ে দুপুর ২:৫০-এ চট্টগ্রাম পৌঁছয়। বিপরীতপথে, মহানগর গোধূলি চট্টগ্রাম থেকে বিকেল ৩টায় রওনা হয়ে রাত সোয়া ৯টায় ঢাকায় পৌঁছয়। এর কোনো ছুটির দিন নেই।
বিরামস্থল: মহানগর প্রভাতী / মহানগর গোধূলি ট্রেনটি নিম্নলিখিত ৮টি স্থানে থামে: ফেনী জংশন, গুণবতী, লাকসাম জংশন, কুমিল্লা, আখাউড়া জংশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ভৈরব বাজার জংশন এবং ঢাকা বিমানবন্দর রেলস্টেশন।
মেইল ট্রেন:
উল্লিখিত পাঁচটি আন্তঃনগর ট্রেন ছাড়াও আরো ৩টি মেইল ট্রেন ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করে। এগুলি হলো চট্টগ্রাম মেইল, কর্ণফুলী এক্সপ্রেস এবং চট্টলা এক্সপ্রেস।
ঢাকা টু চট্টগ্রাম ট্রেন রুটম্যাপ
ঢাকা টু চট্টগ্রাম রেলপথ বাংলাদেশের অন্যতম দীর্ঘ রুট। ৩৪৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রুটের স্থানে স্থানে ছোট-বড় অনেক সাবস্টেশন এবং স্টপেজ রয়েছে। আপনি যদি প্রত্যেকটি স্টেশন ও স্টপেজ এবং ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রেলপথের বিস্তারিত রুটম্যাপ দেখতে চান, তাহলে নিচে সংযুক্ত পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করে দেখে নিতে পারেন:
যদি আমরা সংক্ষেপে কেবল উল্লেখযোগ্য স্টপেজগুলির কথা বলি, তাহলে আপনার যাত্রার প্রারম্ভিক স্থান ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে আপনার গন্তব্যের চট্টগ্রাম স্টেশন পর্যন্ত রাস্তার মাঝখানে মোট ১০টি পরিচিত ট্রেন স্টপেজ রয়েছে। সেগুলো হলো:
ঢাকা → ঢাকা বিমানবন্দর → ভৈরব → ব্রাহ্মণবাড়িয়া → আখাউড়া → কুমিল্লা → লাকসাম → গুণবতী → ফেনী → চট্টগ্রাম।
দেখতে পারেন: Dhaka to Feni Train Schedule & Ticket Price.
ঢাকা টু চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচি
ইতোমধ্যে আপনি জানেন যে, রাজধানী ঢাকা থেকে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম ভ্রমণে আপনার জন্যে মোট ৮টি ট্রেন রয়েছে। এই ট্রেনগুলির মধ্যে আপনি কোনটি বেছে নেবেন, সেটা নির্ভর করে কোন ট্রেনের সময়সূচি আপনার ভ্রমণ শুরুর সময়ের জন্যে সবচেয়ে সুবিধেজনক তার ওপর। তাই আমরা এখানে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী ট্রেনগুলোর সময়সূচি তুলে ধরছি, যাতে আপনি সঠিক ট্রেনটি বেছে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে ট্রেনগুলির অফ-ডে সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত, যেহেতু সব ট্রেন সব দিন চলে না। উদাহরণস্বরূপ, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সুবর্ণ এক্সপ্রেস শুক্রবারে চলবে না, মহানগর প্রভাতী রোববারে বন্ধ থাকে এবং শনিবার হলো সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের বন্ধের দিন।
উল্লেখ্য, ঢাকা টু চট্টগ্রাম ট্রেন শিডিউল ও টিকেট মূল্য সম্পর্কে এখানে উপস্থাপিত তথ্যাদি বাংলাদেশের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ অধিদপ্তর বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত ও বিন্যস্ত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই সমস্ত ট্রেনের শিডিউল ও ভাড়ায় যে-কোনো সময় যে-কোনো ধরণের পরিবর্তন আনতে পারেন। তেমন কোনো পরিবর্তন-নবায়ন ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে আমরাও এখানে প্রদত্ত তথ্যাদি সেই অনুযায়ী হালনাগাদ করব।
বাংলাদেশের যে-কোনো জায়গায় ট্রেনে যাতায়াত করার সময় যদি কখনো আপনি অনিয়ম বা হয়রানির শিকার হন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের 131 হটলাইন নম্বরে কল করে অভিযোগ জানাতে পারেন।
আসুন এবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলির সময়সূচির ছক।
ঢাকা টু চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচি ২০২৩
ক্রম | ট্রেন | বন্ধ | প্রস্থান | আগমন |
৭০২ | সুন্দরবন এক্সপ্রেস | শুক্র | বিকেল ০৪:৩০ | রাত ০৯:৫০ |
৭২২ | মহানগর এক্সপ্রেস | রবি | রাত ০৯:২০ | ভোর ০৪:৫০ |
৭০৪ | মহানগর প্রভাতী | নেই | সকাল ০৭:৪৫ | দুপুর ০২:০০ |
৭৪২ | তূর্ণা এক্সপ্রেস | নেই | রাত ১১:৩০ | ভোর ০৬:২০ |
৭৮৮ | সোনার বাংলা | বুধ | সকাল ০৭:০০ | দুপুর ১২:১৫ |
২ | চিটাগাং মেইল | নেই | রাত ১০:৩০ | সকাল ০৭:১৫ |
৪ | কর্ণফুলি এক্সপ্রেস | নেই | সকাল ০৮:৪৫ | সন্ধ্যে ০৬:১৫ |
৬৭ | চট্টলা এক্সপ্রেস | মঙ্গল | দুপুর ০১:০০ | রাত ০৮:৩০ |
আরও দেখুন: Sylhet To Chittagong Train Time & Ticket Price.
ঢাকা টু চট্টগ্রাম ট্রেনের টিকেট মূল্য
ঢাকা টু চট্টগ্রাম ট্রেনের সর্বশেষ সময়সূচি জেনে নেবার পর এখন আমরা দেখব এই রুটে ট্রেনের ভাড়া কত। আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে, বাংলাদেশের ট্রেনগুলিতে বিভিন্ন শ্রেণীর আসন রয়েছে। এইসব আসনের শ্রেণীভেদে ট্রেনের টিকেট মূল্য কমবেশি হয়ে থাকে।
নিচের সারণীতে বাংলাদেশ রেলওয়ের স্থিরীকৃত ও সর্বশেষ পরিমার্জিত প্রকাশনা থেকে ঢাকা টু চট্টগ্রাম ট্রেন টিকেট মূল্য প্রদর্শিত হলো। উল্লেখ্য, সকল ট্রেনে নিম্নোক্ত সব শ্রেণীর আসন না-ও থাকতে পারে।
আসন শ্রেণী | ভাড়া |
---|---|
২য় শ্রেণী সাধারণ | ৯০ টাকা |
২য় শ্রেণী মেইল | ১১৫ টাকা |
কমিউটার | ১৪৫ টাকা |
সুলভ | ১৭৫ টাকা |
শোভন | ২৮৫ টাকা |
শোভন চেয়ার | ৩৪৫ টাকা |
১ম শ্রেণী চেয়ার | ৪৬০ টাকা |
স্নিগ্ধা | ৬৫৬ টাকা |
১ম শ্রেণী কেবিন | ৬৮৫ টাকা |
এসি আসন | ৭৮৮ টাকা |
এসি কেবিন | ১১৭৯ টাকা |
ঢাকা টু চট্টগ্রাম ট্রেন টিকেট অনলাইন
বাংলাদেশ রেলওয়ে সম্প্রতি চালু করেছে ই-টিকেটিং সার্ভিস।
যাঁরা ট্রেন ভ্রমণ পছন্দ করেন তাঁদের জন্যে এটি একটি স্বস্তির সংবাদ। টিকেট বুক করার জন্যে বিরক্তি নিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর পরিবর্তে আপনি এখন রেলওয়ে ই-সেবা ব্যবহার করে আপনার ঘরে বসে থেকেই ঢাকা টু চট্টগ্রাম ট্রেনের বা অন্য যে-কোনো গন্তব্যের জন্য টিকেট কাটতে পারবেন। প্রক্রিয়াটি একদম সহজ, মাত্র দু’ মিনিটেই করে ফেলা যায়।
এজন্যে আপনি আপনার কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহার করে বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-সেবা ওয়েবসাইটে লগইন করবেন। তারপরে আপনার প্রস্থানের স্থান, গন্তব্য, আসনের শ্রেণী এবং টিকেটের সংখ্যা নির্বাচন করে ‘ফাইন্ড’ বোতামে ক্লিক করবেন। তৎক্ষণাৎ আপনার ট্রেনের টিকেট আপনার ইমেইলের ইনবক্সে পৌঁছে যাবে।
অনলাইনে কীভাবে ট্রেনের টিকেট কিনতে হবে, সে সম্পর্কে ধাপে ধাপে বর্ণিত একটি নির্দেশিকা দেখতে নিচে বাটনে ক্লিক করুন:
আপনার ভ্রমণ আনন্দময় হোক!
ঢাকা টু চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচি এবং ট্রেন টিকেটের মূল্য সম্পর্কে এই সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য বাংলাদেশ রেলওয়ের হালনাগাদকৃত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে উপস্থাপন করা হয়েছে। সম্ভবত ট্রেনের টিকেটের মূল্য পুনর্নির্ধারণের প্রক্রিয়া চলছে। তাছাড়া একই শ্রেণীর আসনের জন্যে অফলাইনে এবং অনলাইনে টিকেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে মূল্যের হেরফের হয়ে থাকে। আপনি ট্রেন টিকেটের দাম সরাসরি চেক করতে পারেন, এখানে।
এই লেখা সম্পর্কে আপনার বিশেষ কিছু বলবার থাকলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এ সম্পর্কে আপনার কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে কিংবা আপনি যদি আপনার ট্রেন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চান, তাহলে নিচে মন্তব্যের ঘরে সেটা লিখে ফেলুন। অন্যান্য গন্তব্যের জন্যে ট্রেনের সময়সূচি খুঁজে নিন পর্যটন ডট কম থেকে।
আর চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আপনার ফিরতি যাত্রার তথ্য দেখুন এখানে: Chittagong to Dhaka train schedule.
শুভযাত্রা!
Md.Serajul Islam Khan, Village :Iswerpur,Post office :Dhamaich Hat,Thana:Tarash,District :Sirajganj