রূপসী বাংলা
কোথায় ঘুরতে যাবেন?
যে পাঁচ কারণে ভ্রমণ জরুরি
পথের শেষ কোথায়?
‘পথের শেষ কোথায়, শেষ কোথায়, কী আছে শেষে?’ একজন দার্শনিক কবি তাঁর গানে এই অবাক প্রশ্নটি গেঁথে রেখে গিয়েছেন। পথ আসলে সবাইকেই ডাকে। আপনি কি সেটা শুনতে পান? আপনি কি জানেন যে ভ্রমণে লাভ কী? এই নিবন্ধে, আমরা এমন পাঁচটি বিষয় নিয়ে বলেছি। কেন আপনার ভ্রমণে বেরোনো উচিত, এই লেখা আপনাকে তা-ই বলবে।
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পর্যটনকেন্দ্র
কক্সবাজার সৈকত
কক্সবাজার সৈকত হলো বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন সমুদ্র সৈকত। এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। ১২২ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সমুদ্র সৈকত পুরোটাই বালুময়, কোথাও কাদামাটির চিহ্নমাত্র নেই। কক্সবাজারে দেখার মতো কী কী আছে, আশেপাশের দর্শনীয় স্থানই বা কী কী, কক্সবাজার হোটেল-রিসোর্টের তথ্য এবং কক্সবাজার ভ্রমণের দরকারি অন্যান্য তথ্যের সবই পাবেন এই লেখায়।
সুন্দরবন
দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনের নাম সুন্দরবন, যা ইউনেস্কোর বিশ্ব-ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত। বিশাল এ বনভূমি সামুদ্রিক জলস্রোত, কাদা-চর এবং লোনাপানিতে জন্মানো গাছগাছালিতে ছাওয়া ছোট ছোট অজস্র দ্বীপে পরিবেষ্টিত। সুন্দরবনের মোট আয়তনের এক-তৃতীয়াংশ জুড়ে রয়েছে নদী, খাঁড়ি এবং বিল। এই বন বিখ্যাত রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ও অন্যান্য বুনো জীবজন্তুর একটি অভয়ারণ্য।
সবার ওপরে জাফলং
জাফলং, সিলেট। প্রকৃতিকন্যা নামে খ্যাত। এখানে আছে জাফলং ভ্রমণের সব তথ্য: কী আছে দেখার মতো, জাফলং কীভাবে যাবেন, জাফলং হোটেল রিসোর্ট কিছু আছে কি না ইত্যাদি, ভ্রমণের আগে যা যা আপনার জানা দরকার সব তথ্যই তুলে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন কিছু ছবি।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, কক্সবাজার এবং কুয়াকাটার পরে, বাংলাদেশের তৃতীয় পর্যটকপ্রিয় সৈকত—যদিও তা ওই দু’টোর মতো অত বড় নয়। তবে এটা শহরের কাছেই, আর যাতায়াতও সহজ। তাই আপনি কম সময়ে এবং কম খরচেই এই সৈকত থেকে ঘুরে আসতে পারেন। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রাম শহর থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে, কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত।
রাতারগুল জলাবন
রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট হলো বাংলাদেশের একমাত্র মিঠেপানির জলাভূমি এবং দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। সিলেট শহরের কাছে অবস্থিত এই জলাবনকে বলা হয় 'সিলেটের সুন্দরবন'। এই নিবন্ধে রয়েছে রাতারগুলের পরিচিতি, জীববৈচিত্র্য, ভূমিরূপ, নামকরণের ইতিহাস, কীভাবে সেখানে যাবেন এবং আরও অনেক ভ্রমণ-সংক্রান্ত তথ্য।
মালনিছড়া চা বাগান
মালনিছড়া চা বাগান হলো বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের বৃহত্তম ও সর্বপ্রাচীন চা বাগান। সিলেট শহরের গা ঘেঁষে উত্তরদিকে মাইলের পর মাইল জুড়ে রয়েছে এই চা বাগান। বাংলাদেশে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চা উৎপাদন শুরু হয়েছিল এই চা বাগান দিয়েই, ১৮৫৪ সালে। শুরুতে ১৫০০ একর জায়গা নিয়ে শুরু হয়েছিল বাগানটির যাত্রা। বর্তমানে তার আওতা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
কুয়াকাটা সৈকত
কুয়াকাটা বাংলাদেশের একটি আশ্চর্য সুন্দর সমুদ্র সৈকত। এটি গোটা দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র সমুদ্র সৈকত, যেখানে দাঁড়ি সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দু'টো দৃশ্যই উপভোগ করা যায়। ‘সাগরকন্যা’ নামে পরিচিত কুয়াকাটা সৈকত বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় পটুয়াখালি জেলার কলাপাড়া উপজেলায় বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত।
সাজেক উপত্যকা
বাংলার অন্যতম সুন্দর পর্যটনস্থল হলো সাজেক উপত্যকা। আপনার যদি কখনও মেঘের রাজ্যে ঘুরে বেড়াতে ইচ্ছে করে, তাহলে চলে যেতে পারেন সাজেকে। কেননা সেটা সত্যিই এক মেঘের রাজ্য। ওখানে পৌঁছে মনে হবে আপনি মেঘমালার ওপরে ভেসে বেড়াচ্ছেন। রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় সাজেক উপত্যকার অবস্থান।
লোভাছড়া
লোভাছড়া সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার একটি আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র। স্ফটিক-স্বচ্ছ জলের নদী, বিস্তীর্ণ চা বাগান, রাস্তার দু' ধারে সবুজ গাছগাছালি, প্রাকৃতিক হ্রদ ও ঝর্ণা, শতাব্দী-প্রাচীন ঝুলন্ত সেতু এবং মুঘল আমলের কিছু প্রাচীন নিদর্শন দেখতে পাবেন লোভাছড়ায়। কানাইঘাট বাজার থেকে অনেকটা পথ যেতে হয় নৌকোয় করে।
মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত
Madhabkunda Waterfall, located at Moulvibazar district in Sylhet, is known as one of the highest waterfall of Bangladesh. A water stream called Madhab Chora fell down from the Patharia hills and formed a huge hole or kunda bellow, this is how the waterfall was named 'Madhabkunda'.
টাঙ্গুয়ার হাওর
টাঙ্গুয়ার হাওর বৃহত্তর সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলায়। প্রায় একশো বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এ হাওর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠেপানির জলাভূমি। সুন্দরবনের পরে টাঙ্গুয়ার হাওর বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার সাইটের মর্যাদা পেয়েছে। ভারতের মেঘালয় পর্বতমালা থেকে ত্রিশটি ঝর্ণাধারা গড়িয়ে এসে মিশেছে টাঙ্গুয়ার হাওরে। প্রতিবছর শীতে দুনিয়ার বিভিন্ন শৈত্যপীড়িত দেশ থেকে অন্তত ২০০ প্রজাতির পাখি উড়ে এসে ঠাঁই নেয় টাঙ্গুয়ার হাওরে।
হাকালুকি হাওর
Hakaluki Haor is the largest haor in Bangladesh and in Asia. Located at the foothills of Meghalaya and Tripura hills, the haor covers five upazilas of Sylhet and Moulvibazar districts— Baralekha, Kulaura, Fenchuganj, Golapganj and Beanibazar. The area of Hakaluki Haor is 20,400 hectares.
নুহাশ পল্লী
Nuhash Polli is a garden house at Pirujali village, 25 km away from Gazipur district headquarters. The present area of the Polli is about 40 bighas. The late popular novelist Humayun Ahmed established this natural landscape in Gazipur near Dhaka. The writer is also lying in a corner here forever.