ময়মনসিংহের দর্শনীয় স্থান
ময়মনসিংহ বিভাগ বাংলাদেশের উত্তর-মধ্য অঞ্চলে অবস্থিত দেশের অষ্টম বিভাগ। বিভাগটি চারটি জেলা নিয়ে গঠিত: ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর এবং নেত্রকোনা। ১০,৫৮৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ বিভাগটি একটি দেশের প্রাচীনতম জনবসতি। এর উত্তরে ভারতের মেঘালয় (খাসিয়া ও জৈন্তা) পাহাড়, দক্ষিণে ঢাকা বিভাগ, পূর্বে সিলেট বিভাগ এবং পশ্চিমে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ। বাঙালি ছাড়াও গারো, কোচ, ডালু, বর্মণ, হাজংয়ের মতো নানা উপজাতির মানুষ এই বিভাগে বাস করেন।
ময়মনসিংহ বিভাগের উক্ত চারটি জেলায় অনেক প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। নিচে আমরা ময়মনসিংহ বিভাগের দেখার মতো স্থানগুলির একটি তালিকা ছবি- ও সংক্ষিপ্ত পরিচিতিসহ উপস্থাপন করছি।
শশী লজ, ময়মনসিংহ
শশী লজ ময়মনসিংহ শহরে অবস্থিত মহারাজা শশীকান্ত আচার্যের প্রাসাদ। উনিশ শতকে মুক্তাগাছার জমিদার মহারাজ সূর্যকান্ত আচার্য এই প্রাসাদটি তৈরি করেছিলেন। শশী লজের মূল ফটকের উপরে ১৬টি গম্বুজ রয়েছে। প্রাসাদটি ৯ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত।
রাজার পাহাড়, শেরপুর
রাজার পাহাড় শেরপুরের শ্রীবর্দি উপজেলার ঢেউফা নদীর তীরে অবস্থিত একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান। এখানে গারো পর্বতমালার সর্বোচ্চ চূড়ায় ১০০ হেক্টর সমতল জমি রয়েছে। বিশাল রাজার পাহাড়ের প্রাকৃতিক দৃশ্য আপনাকে অভিভূত করবে।
শিল্পাচার্য জয়নুল আর্কাইভ, ময়মনসিংহ
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালা শিল্পী জয়নুল আবেদীনের জন্মস্থান ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে গড়ে উঠেছে। ১৯৭৫ সালে জয়নুল তাঁর ৭০টি চিত্রকর্ম দিয়ে এ শিল্প-জাদুঘরটি উদ্বোধন করেছিলেন। পরে ১৯৮৭ সালে জাদুঘরটি একটি দ্বিতল ভবনে উন্নীত হয়।
মালঞ্চ মসজিদ, জামালপুর
মালঞ্চ মসজিদ জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় অবস্থিত। মসজিদটির আঙিনায় রয়েছে একটি কামিল মাদ্রাসা, একটি মহিলা মাদ্রাসা, একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা, মালঞ্চ হাসপাতাল এবং একটি ইসলামিক মিশন। নান্দনিক সৌন্দর্যের জন্যে এই মসজিদ এখন জামালপুরে সর্বাধিক দর্শনীয় স্থান।
বিরিশিরি চীনা পাহাড়, নেত্রকোনা
নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলায় অবস্থিত চীনামাটির পাহাড়, নীল জলের হ্রদ এবং সোমেশ্বরী নদীর জন্য বিরিশিরি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। চীনামাটির এ পাহাড় ও সমভূমি প্রায় ১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রসারিত। সোমেশ্বরী নদীটিও অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অনন্য।
মুক্তাগাছা রাজবাড়ি, ময়মনসিংহ
মুক্তগাছা রাজবাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় প্রায় একশো একর জমিতে নির্মিত আঠারো শতকের একটি প্রাচীন প্রাসাদ। মুক্তাগাছার তৎকালীন জমিদার ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে 'রাজা' উপাধি পেয়েছিলেন। তাই তাঁর বাড়িকে রাজবাড়ি বলা হয়।