আপনি চাইলে লালাখালের পারে রাত কাটাতে পারেন। উত্তরা রিসোর্ট বা লালাখাল রিসোর্ট নামে একটি রিসোর্ট আছে এখানে। এদের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাও রয়েছে। আরেকটি আবাসন হলো নাজিমগড় রিসোর্ট, এটি লালাখালের কাছে খাদিমনগরে অবস্থিত। যদি আপনি এতে থাকতে চান তাহলে তাদের সাথে আগে থেকেই যোগাযোগ করে যাবেন। নইলে রিসোর্টে রুম খালি পাওয়া অনিশ্চিত হতে পারে।
নাজিমগড় রিসোর্টে তিন ধরণের বাংলো আছে। প্রশস্ত টেরেস, ছোট বাংলো এবং বড় ভিলা আছে বিশ্রাম ও রাত্রাযাপনের জন্যে। এগুলোর ভাড়া আলাদা আলাদা, তবে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পাঁচতারা হোটেলের মতোই। এখানে স্পা এবং পুল রয়েছে, আপনি তাতে গা ডুবিয়ে সব ক্লান্তি মুছে ফেলতে পারেন। সবচেয়ে সুন্দর ব্যাপার হলো, এর প্রতিটি স্থাপনাই বৃক্ষাচ্ছাদিত টিলার কিনারায়। যে-কোনো ভিলায়, বারান্দায় বা বাংলোতে বসে আপনি হাত বাড়িয়ে গাছপালা স্পর্শ করতে পারেন।
নাজিমগড়ে থাকার খরচ সাধারণ হোটেল-কটেজগুলির চেয়ে কিছুটা বেশি। এক রাত থাকার জন্যে সবচেয়ে সস্তা ‘প্রিমিয়ার’ কক্ষের ভাড়া পড়বে প্রায় ৭,০০০ টাকা, আর প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটের খরচ ১৫,০০০ টাকার মতো। একটি কক্ষে সর্বোচ্চ ৩ জন থাকতে পারবেন। তবে ৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে কোনও ভাড়া লাগে না। দু’জনের নাশতা এই ভাড়ার অন্তর্ভুক্ত।
অন্য বিকল্প হলো, সন্ধ্যার মধ্যে ভ্রমণ শেষ করে সিলেট শহরে ফিরে রাত কাটানো। সিলেট শহরে অনেক কম খরচে ভালো আবাসিক হোটেল পাওয়া যায়। অবশ্য আপনার লালাখাল ভ্রমণ যদি বিছানাকান্দি বা জাফলং ভ্রমণের পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাহলে তো ওদিকেই রওনা হবেন। লালাখাল যেহেতু সিলেট শহর থেকে খুব একটা দূরে নয়, তাই সন্ধ্যার পরে নদীতে সাধারণত পর্যটকবাহী নৌকা চলে না। তাই রাত্রিযাপনের ইচ্ছা না থাকলে আপনার লালাখাল ভ্রমণ সন্ধ্যের মধ্যেই শেষ করে নেবেন। নৌবিহার দিয়ে লালাখাল ভ্রমণ শুরু করাই সবচেয়ে ভালো।