চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও সন্দ্বীপ উপজেলায় প্রায় ৭ লাখ মানুষের বসবাস। এদেরকে ট্রেনে চলাচল করতে হলে আগে পৌঁছাতে হয় ৩৮ কিলোমিটার দূরের চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে। তাই স্থানীয় জনগণ “ট্রেন থামাও” নামে গণস্বাক্ষর অভিযান চালিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে।
এই দীর্ঘ গণদাবির প্রেক্ষিতে সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এখন থেকে কুমিরা রেলস্টেশনে ঢাকাগামী দু’টি আন্তঃনগর ট্রেন দু’ মিনিটের জন্যে দাঁড়াবে। এর ফলে সীতাকুণ্ড-সন্দ্বীপের মানুষের জন্যে কুমিরা রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে ঢাকায় যাওয়ার সুযোগ তৈরি হলো।
সীতাকুণ্ডের স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি সন্দ্বীপের স্থানীয় যাত্রী ও পর্যটক, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, শিল্পকারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শ্রমিকদের যাতায়াতও সহজ হলো এই ট্রেন বিরতির মাধ্যমে।
যে-দু’টি ট্রেন কুমিরা স্টেশনে দাঁড়াবে, সেগুলো হলো চট্টলা এক্সপ্রেস ও মহানগর এক্সপ্রেস।
চট্টলা এক্সপ্রেস: বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান কার্যালয় থেকে পাওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ০৮:৫৮-তে কুমিরা স্টেশনে পৌঁছাবে। ২ মিনিট স্টেশনে যাত্রী ওঠানামার পর ট্রেনটি সকাল ৯টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। অতঃপর এটি বিকেল ০৩:৫০-এ ঢাকায় পৌঁছাবে। কুমিরা স্টেশনে চট্টলা এক্সপ্রেসের শুধু ‘সুলভ’ আসনের টিকিট কাটা যাবে, যার দাম হবে ১৭৫ টাকা।
মহানগর এক্সপ্রেস: দুপুর সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছেড়ে আসবে মহানগর এক্সপ্রেস। ট্রেনটি কুমিরা স্টেশনে পৌঁছাবে দুপুর ১২:৫৬-তে। ২ মিনিট অপেক্ষার পর ১২:৫৮-তে এটি কুমিরা স্টেশন ছেড়ে যাবে। তারপর সন্ধ্যে ০৭:১০-এ ঢাকায় পৌঁছাবে মহানগর এক্সপ্রেস। কুমিরা স্টেশনে ৩৪৫ টাকায় এই ট্রেনের ‘শোভন চেয়ার’-এর টিকিট কেনা যাবে।
অবশ্য ‘ট্রেন থামাও’ আন্দোলনকারীদের দাবি হলো, শুধু ঢাকামুখী দু’টি ট্রেন এখানে থামালে হবে না। সীতাকুণ্ড ও সন্দ্বীপের ৭ লাখ মানুষের সুবিধের কথা চিন্তা করে সব আন্তঃনগর ট্রেনকে এখানে থামানোর ব্যবস্থা করতে হবে।